১৪ হাজার ডলারে বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্মার্টফোন!

অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পর্দা উন্মুক্ত হল, প্রকাশ্যে এল বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্মার্টফোনটি। দাম? ‘মাত্র’ ১৪ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ লাখ টাকারও বেশি! ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান সিরিন ল্যাবসের তৈরি এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি।

বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) সূত্র উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রবাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বের উন্নততম সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, চিপ-টু-চিপ ২৫৬-বিট এনক্রিপশনের এই মুঠোফোনটি বলতে গেলে সেই একই ধরনের।

আভিজাত্যের কারণে সোলারিন নামের এই মুঠোফোনটিকে ‘স্মার্টফোনের জগতে রোলস রয়েস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এটি সক্রিয় করতে হয় পেছনের দিকে থাকা এক ধরনের ‘ফিজিক্যাল সিকিউরিটি সুইচ’ দিয়ে। লন্ডনে মঙ্গলবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে স্মার্টফোনটির। খবর ভেনচারবিট ডটকমের।

সোলারিনে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসর, যার ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি হবে কল্পনাতীত রকমের দারুণ! এছাড়া পেছনের ক্যামেরাটি ২৩.৮ মেগাপিক্সেল ও সামনের সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি স্ক্রিনটির রেজুলেশন আইপিএস লেড টু-কে।

বলা হচ্ছে, সাইবার অ্যাটাকের ঝুঁকিমুক্ত করতে সোলারিনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তথ্য নিরাপত্তা সংস্থা কুলস্প্যানের সঙ্গে যৌথভাবে মুঠোফোনটি তৈরি করেছে সিরিন ল্যাবস। অন্য যেকোনো ফোনের তুলনায় এই ফোনটি অনেক বেশি দ্রুততর গতিতে অপারেট করা সম্ভব হবে এবং বিশ্বের সেরা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে, দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

ধনী ও খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের কাছে ফোনটি বিক্রি করাই উদ্দেশ্য সিরিন ল্যাবসের। তাই লন্ডনের নাইটসব্রিজে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বিক্রয়কেন্দ্র ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়া যাবে ফোনটি।

বিলাসবহুল স্মার্টফোন বিশ্বে এটাই প্রথম নয়। ২০০৬ সালে নোকিয়া বাজারে এনেছিল তিন লাখ ১০ হাজার ডলারের ‘সিগনেচার কোবরা’, আর তারপর ২০১১ সালে পাঁচ হাজার ডলারের ‘কনস্টেলেশন’।

২০১২ সালে নোকিয়া থেকে আলাদা হয়ে যায় বিলাসবহুল মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভার্চু। নোকিয়া ছাড়ার পর ভার্চু বাজারে আনে নিজেদের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোন ‘ভার্চু টি’। এতে রয়েছে ১.৭ গিগাহার্টজের ডুয়েল কোর প্রসেসর, এক গিগাবাইট র‍্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ।

ভার্চুর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্মার্টফোনগুলোর ১৮৪টি আলাদা আলাদা অংশ থাকে। এগুলোর বাইরের অংশ (বডি) তৈরি গ্রেড ফাইভ টাইটানিয়াম দিয়ে, রয়েছে ব্যাং ও ওলুফসেন স্টেরিও স্পিকার সেট। আর উজ্জ্বল হালকা নীল রঙের স্ক্রিনটি স্ক্র্যাচপ্রুফ এবং আলোর প্রতিফলনের দিক থেকে এগুলো অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় চারগুণ শক্তিশালী।

ব্যক্তিমালাকানাধীন সুইডিশ প্রতিষ্ঠান ইকিউটি’র কাছ থেকে পরে ভার্চুকে কিনে নেয় চীনা বিনিয়োগকারীদের একটি কনসোর্টিয়াম। সূত্রঃ সময়ের কন্ঠস্বর

0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন