নিজের সিকিউরিটি বাড়াতে তথ্য গোপন রাখবেন যেভাবে।


বর্তমানে নেটওয়ার্কিং এর যুগে সোশাল মিডিয়ায় থাকাটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজের জন্য অনলাইনে থাকা। বর্তমানে বেশির ভাগ কাজই অনলাইন ভিত্তিক। ইন্টারনেট ছাড়া যা কল্পনায় করা যায়না। যার কারণে অনেকেই কাজের ভিত্তিতে বিভিন্ন সাইটে তাদের নিজস্ব একাউন্ট খুলে থাকে। যেমনঃ ব্যাংক একাউন্ট, অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য payza, paypal একাউন্ট, লিঙ্কড ইন,ফেসবুক,টুইটার,up work,  নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট একাউন্ট ইত্যাদি। আর এসব জায়গায় নিরাপত্তা থাকাটা খুবই জরুরি। তানাহলে আমাদের দেশের সোনালি ব্যাংকের মত অবস্থায় পড়তে হবে। কেননা হ্যাকার সবসময় আপনার তথ্য চুরি করে অর্থ আত্নসাৎ করার পরিকল্পনায় ছক কোশছে। আর তাই আমি আজ আপনাদের কিছু কৌশল বোলে দিব। যা আপনাদের কাজে আসতে পারে।
★বিভিন্ন সিকিউরিটি ভিত্তিক পোস্ট পেতে প্রযুক্তি আলো ব্লগ ভিজিট করুন★
মনে রাখবেন প্রতিটা ছোট ছোট তথ্য আপনাকে হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার জন্য যথেষ্ট । তাই কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক রকম না হয় সেদিকে খেয়াল রখবেন।
ব্যাংককার্ড, ক্রোডিট কার্ড, ইত্যাদি সব একাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা পাশওয়ার্ড ব্যাবহার করবেন। এসব একাউন্টের পাশওয়ার্ড যেন কোনো সোশাল মিডিয়া একাউন্ট অথবা মোবাইল, কম্পিউটারের সাথে মিল না থাকে। পাশওয়ার্ড যতসম্ভব বড় করার চেষ্ট করবেন। এবং এর সাথে অক্ষর +নাম্বার +অক্ষর +নাম্বার এভাবে যত সম্ভব কঠিন পাশওয়ার্ড দিবেন। নিজের নামে বা সন্তান, বউ বা স্বামী বা কোনো আত্বীয়ের নামে কখনই  পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন না। কেননা হ্যাকাররা প্রথমে এসব তথ্য ব্যবহার করে আপনার ক্ষতি করার চেষ্ট করতে পারে। কঠিন পাশওয়ার্ড ভুলে যাবেন মনে করে কোথাও আবার লিখে রাখবেননা। নাহলে আপনি খুব বড় একটা ভুল করবেন। এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। বাইরে কোথাও গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন।
→ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখাঃ
মনে রাখবেন সিকিউরিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা ফেসবুকেই হোক অথবা অন্য কোথাও। আমাদের পার্শবর্তি এক গ্রামে দু জন ফেসবুকে লাইক দিয়ে ইনকামের উদ্দেশ্য প্রায় ২৫-৩০ টা একাউন্ট খুলে একজনের ফেসবুক পোস্টে লাইক দিত আর মাসিক ৩-৪ হাজার টাকা নিত। অবিশাস্য হলেও এটা সত্য ঘটনা। যার প্রেক্ষিতে কিছু দিন আগে কিছু পুলিশ সেই দুজনকে আটক করে। ২৫ হাজার টাকা করে নিয়ে ও ল্যাপটপটি আত্মসাৎ করে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। যাই হোক বর্তমানে ফেসবুক হ্যাক হয়ে গেলে তা যদি আপনার কোনো। শত্রুর হাতে পরে তবে বুঝছেন নিশ্চই কি হতে পারে। সে যদি কোনো অসামাজিক, ধর্মীয় মত বিরোধী পোস্ট করে, আপনার নামে আই এস এর সাথে সম্পর্ক আছে ও সে আই এস কর্মী বলে পোস্ট ছাড়ে তো আপনাকে সোজা জেলে যেতে হবে। তাই এসব একাউন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার একাউন্ট যদি হ্যাকও হয়ে যায় তবে সময় নষ্ট না করে পুলিশকে জানান। তাই আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে এসব একাউন্টে লগ ইন করে থাকেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ তা হলো ব্যবহার শেষে লগ আউট করে ফেলা। যাতে আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যেন আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে।
→কার্ডেরর পরিবর্তে ক্যাশ ব্যবহার করাঃ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনার পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
→ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুনঃ
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
→‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুনঃ
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷
→ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়াঃ
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য জানতে চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
→গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুনঃ
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷

0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন